মিন্টু শাহজাদা
প্রচন্ড গরমে খাবারে রুচি কমে যাওয়ার চেয়ে বরং বেড়েছে। ক’দিন ধরে ভাত অভ্যাসের তুলনায় বেশি খাচ্ছি।গরমের কারণে মাংসে রুচি নেই তবে বড় কিংবা ছোট মাছ, শাক-সবজি খাচ্ছি খুব।আজ দুপুরে খাওয়া শেষে ডাল অার কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে আরো দু-প্লেট মেরে দিলাম, খেয়ে দেয়ে খুব আরাম পেলাম।মনে হল খাওয়া দাওয়ার পারফরমেন্সে আগের ফর্ম ফিরে পেয়েছি। পুঁইশাক, লাউ, ডালের প্রতি ভালবাসা বেড়েছে খুব। আচার, চাটনিও ভাল লাগছে।কাঁচা পেয়াজ, শসা ও লেবুও লাগছে দারুণ। প্রতিদিন পানি খাচ্ছি খুব।
দুপুর ও সাঁঝে দু’বেলা দু-গ্লাস করে আখের রস (বরফ ছাড়া) আর ডাব খাচ্ছি। প্রচুর ঠান্ডা পানি খাচ্ছি।তবুও যেন তৃষ্ণা মিটছে না। ঘুমও হচ্ছে ভেঙে চুড়ে। এমনিতে আমার ঘুমে সমস্যা নেই। শু’লেই নাই
অাগে অবশ্য এরকমই খেতাম।গত কয়েক বছর ধরে আর আগের মত খেতে পারি না। সেদিন বাড়িতে আব্বা তো বলেই বসল- ’জোয়ান ছাওয়াল, কি খাস? ঢাকায় যায়া ছাওয়াল আমার খাওয়া দাওয়া ভুলেই গেছে।’
অামি বললাম- ’ অাব্বা, ঢাকার মানুষ খায় কম, তবুও খালি মোটা হয়। মোটা হলেও ঢ্যাপসা। গায়ে বল কম।এগুলার দুই-চারটারে তুমি এই বয়সেও আছড়ায়া মারতে পারবা।’ আব্বা শুনে হাসে। বলে- ‘অামিও তো ১৭ বছর ঢাকায় ছিলাম, তখন তো এমন ছিল না ‘। আমি বলি- ’এখন এরকম হইছে। এখনকার মানুষ কনফিডেন্টলি খাওয়াও ভুলে গেছে। খাওয়া দাওয়ারে আর্ট বানাইতে যাইয়া এরা এমন অবস্থা করছে, পাবলিক প্লেসে কেউ খাইতে বসলে মনে হয় সিনেমার শুটিং হইতেছে। যতবার না খাবার মুখে দেয়, তারচে বেশিবার টিস্যু দিয়া মুখ মুছে অার এদিক ওদিক তাকায়, যেন কেউ তার খাওয়া দাওয়া ফলো করতেছে। পেটে ক্ষুধা থাকলেও খায় না। বেশি খেলে কে কি মনে করে- এই ভেবে না খেয়ে থাকে। কেউ কেউ মোটা হওয়ার ভয়েও উপোস থাকে। এখন তো আবার ফেসবুকের যুগ। খাওয়ার চাইতে খাবারের ছবি তোলাটাই বড় বিষয়।’
অামি বললাম- ’ অাব্বা, ঢাকার মানুষ খায় কম, তবুও খালি মোটা হয়। মোটা হলেও ঢ্যাপসা। গায়ে বল কম।এগুলার দুই-চারটারে তুমি এই বয়সেও আছড়ায়া মারতে পারবা।’ আব্বা শুনে হাসে। বলে- ‘অামিও তো ১৭ বছর ঢাকায় ছিলাম, তখন তো এমন ছিল না ‘। আমি বলি- ’এখন এরকম হইছে। এখনকার মানুষ কনফিডেন্টলি খাওয়াও ভুলে গেছে। খাওয়া দাওয়ারে আর্ট বানাইতে যাইয়া এরা এমন অবস্থা করছে, পাবলিক প্লেসে কেউ খাইতে বসলে মনে হয় সিনেমার শুটিং হইতেছে। যতবার না খাবার মুখে দেয়, তারচে বেশিবার টিস্যু দিয়া মুখ মুছে অার এদিক ওদিক তাকায়, যেন কেউ তার খাওয়া দাওয়া ফলো করতেছে। পেটে ক্ষুধা থাকলেও খায় না। বেশি খেলে কে কি মনে করে- এই ভেবে না খেয়ে থাকে। কেউ কেউ মোটা হওয়ার ভয়েও উপোস থাকে। এখন তো আবার ফেসবুকের যুগ। খাওয়ার চাইতে খাবারের ছবি তোলাটাই বড় বিষয়।’
শুনে আব্বা হাসে। মা চিন্তিত হয়। মা বলে- ‘ ও… এই জন্যেই তোর খাওয়া কমছে?।হায়! হায়! ছাওয়াল কয় কি! খবরদার, খাওয়া নিয়া কখনও লজ্জা করবি না। তোর যতটুকু খাইতে মন চায়, খাবি।’ আমি বলি- ’না, মা খাওয়া দাওয়ায় আমি লজ্জা পাই না।‘
আব্বা বলে- ‘জোয়ান বয়সে সামর্থের মধ্যে যা খাইতে মন চায়, যতটুকু খাইতে মন চায় সব খাবি। এখন না খাইলে আর খাবি কবে? আমার ছাওয়ালরে আমি শক্তিতে, মেজাজে ঘূর্নিঝড়ের মতো দেখতে চাই। শরীরে যেন সবসময় সিংহের মতন তেজ আর সাহস থাকে।’
আমি বলি- ’আচ্ছা।’
আব্বা বলে- ‘জোয়ান বয়সে সামর্থের মধ্যে যা খাইতে মন চায়, যতটুকু খাইতে মন চায় সব খাবি। এখন না খাইলে আর খাবি কবে? আমার ছাওয়ালরে আমি শক্তিতে, মেজাজে ঘূর্নিঝড়ের মতো দেখতে চাই। শরীরে যেন সবসময় সিংহের মতন তেজ আর সাহস থাকে।’
আমি বলি- ’আচ্ছা।’
২৫ মে ২০১৭, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন