মিন্টু শাহজাদা
রাতের খাবার খেতে রাস্তার পাশের হোটেলগুলোতে (এদেশে খাবারের দোকানগুলো প্রচলিত অর্থে হোটেল হিসেবেই পরিচিত) গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম মাছ আর ডাল দিয়ে দুটো ভাত খাব। গিয়ে দেখি কোন দোকানে খিঁচুড়ি আর সেদ্ধ ডিম, কোন দোকানে রুটি/পরটার সাথে আলু ভর্তা, কোন দোকানে মাছের ঝোল (মাছ নাই) আর রুটি, এক দোকানে আবার দেখলাম খিঁচুড়ির সাথে ফ্রাইড চিকেন অবশিষ্ট আছে। দোকানিগণ আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এগুলো খেতে অফার করলেন। আমিও প্রায় সব দোকানিকে বিনয়ের সাথে বললাম- ভাত নাই?
-না, স্যার। লোকজন কম। ভাত রাঁধি নাই।
– আচ্ছা, দেখি।
বলেই ক্রমাগত সামনে এগুলাম। শেষে ছোট্ট একটি দোকানে গিয়ে রুটি ও হালুয়া পেলাম। ওগুলো খেয়েই ঘরে ফিরলাম।
দোকানিগণ আমাকে যে সকল খাবার অফার করেছেন, সেগুলোর সবই আমি খাই কিন্তু খাবারের এরকম কম্বিনেশনে আমি অভ্যস্ত নই। তার মানে এই নয় যে, এগুলো ভাল খাবার নয়। খুবই ভাল খাবার, কেবলমাত্র কম্বিনেশনটা একটু অন্যরকম (আমার কাছে)। বৃষ্টির মধ্যে লোকেরা আর যাবেই বা কোথায়? অনেককেই দেখলাম এগুলো দিয়েই আহার সারছেন।
আসলে আমার কাছে কোন কিছু যে রকম, অন্যের কাছে তা সেরকম নাও হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, আমি যা বুঝি, আমি যা বিশ্বাস করি কিংবা আমি যা অনুশীলন করি, সেটাই কেবল ভাল আর বাকিগুলো কম ভাল কিংবা ভাল নয়।
গত ক’বছরে আমি বেশ কিছু অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছি যে অভিজ্ঞতাগুলো আমার কাছে কস্মিনকালেও পরিচিত ছিল না। আমার সাথে এগুলো ভাল হয়েছে কিনা কিংবা এখন যা হচ্ছে তা-ও ভাল হচ্ছে কিনা, জানি না। পরে হয়ত বোঝা যাবে অথবা বোঝা যাবে না। দেখা যাক। আমি যা, আমি তো তা-ই। একফোটা বেশিও না, আবার কমও কিন্তু না। অনেকে তো এটাও জানে না।
০৪/০৭/২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন