সূচীপত্র

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১০, ২০১৮

আমরা আমাদের ভাগের ধান পুরাপুরি চাই

ফুলতলায় বড় হাট। কুলতলায় ছোট হাট। মূলতলায় হাট নাই। তাই মূলতলার ছোট্ট দোকানদারকে আপনি ফুলতলা কিংবা কূলতলার হাটের বড় গুদামের গদিঘরে বসায়া দিতে চান। আর ফুলতলা কিংবা কুলতলার বড় ব্যবসায়ীকে ফুটপাতে নামায়া দিতে চান।
কেন?
মূলতলায় হাট বসান নাই কেন?
সবকিছু ফুলতলায় আর কূলতলায় হওয়া লাগবে কেন?
এই যে ফুলতলা আর কুলতলায় উচা উচা লোকসমাজের সৃষ্টি হইছে, এইটা কারা সৃষ্টি করছে?
শোনেন-
মূলতলার লোকেরা কোন দয়া বা অনুগ্রহ ভিক্ষা চায় না। এঁদেরও আত্মসম্মানবোধ আছে। এরা যোগ্যতার বলে জায়গা চায়। এঁরা এঁদের প্রাপ্য সম্মান চায়।
আপনে চাইলের দোকান, ডাইলের দোকান, তেলের দোকান, নুনের দোকান, পিরাণের দোকান সব ফুলতলা আর কুলতলায় পরিকল্পিতভাবে বসাইছেন। এসব বসানোর সময তো মূলতলার কথা মনে থাকেনা।
কেন?
মূলতলায় জায়গা নাই?
ওখানে হাট বসানো যায় না?
আপনি আইছেন মূলতলার দুই চাইরজন ছোট দোকানিকে দয়া করে ফুলতলা কিংবা কুলতলার হাটের বড় দোকানে বসাইতে। আপনি বরং মূলতলার ভাগের পয়সা দিয়ে মূলতলাতেই হাট বসানোর ব্যবস্থা করেন। আমাদের জন্যে আপনাকে মায়াকান্না করা লাগবে না।যদি তা না পারেন তো আমাদের ভাগের ধান আমাদেরকে দিয়ে দেন। আমরা নিজেরাই মূলতলায় হাট বাজার বসাবো। ব্যবসা বাণিজ্য শিখে ফুলতলা হোক, কুলতলা হোক কিংবা মূলতলা হোক, বড় গুদাম হোক, মাঝারি দোকান হোক কিংবা ছোট দোকান হোক, আমরা যোগ্যতাবলে যে যেখানে পারি বসব।
আপনার দয়া আমরা চাই না।
আমরা আমাদের মূলতলার ভাগের ধান পুরাপুরি চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন