সূচীপত্র

বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১৮

কোটা ও এলিট

শোনেন-
গাও গেরাম থেকে কোটা নামক ছাঁকনি দিয়া দুই চারজন গেরস্থের পোলা মাইয়া উঠাইয়া আইনা লাভ নাই। আগেই রাগ কইরেন না। কথাটা একটু মন দিয়া পড়েন।
শুধুমাত্র এলিটদের পোলামাইয়া উপরে উঠতে যাতে না পারে সেইজন্য গাও গেরাম কোটাও রাখা হইল ধরেন। তাতে লাভ কী?
গাও গেরাম থেকে যতই উঠায়া আনা হোক, এরা নব্য এলিট হইয়া শহরেই থাইকা যাইব।গেরামে আর ফিরব না। এমনকি একজন ডাক্তারও না। কারণ গেরামে শহরের মতো নানান পদের সুবিধা নাই। সুতরাং গেরামের কোন লাভ হইব না।
আসল কথা হইল-
মেধার বন্টন বাদ দিয়া সম্পদ ও ক্ষমতার সুষম বন্টন করতে হবে। শুধুমাত্র শহর কেন্দ্রীক অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেই হবে না বরং পাশাপাশি সমহারে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বসহকারে গ্রামীন অবকাঠামো মজবুত করতে হবে। গ্রাম প্রাগ্রসর হইলে ‘কোটা’ নামক ইন্সট্রুমেন্ট এর ব্যবহারের এক্ষেত্রে কোন গুরুত্ব নাই।
গ্রাম আর শহরের মধ্যেকার সম্পদ আর অবকাঠামোর বৈষম্য কমাইতে হবে। দাপ্তরিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সম্পদ ও ক্ষমতা সারাদেশে সমহারে বন্টন করতে হবে।
কোটা দিয়া মেধার বন্টণ ভাল নয়। এটা বরং বৈষম্যকে উসকাইয়া দিবে।
আবেগের বশবর্তী হয়ে কোটা সিস্টেমের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কম দক্ষ নীতিনির্ধারক নিযুক্ত করা আর পায়ে কুড়াল মারা একই।
জাতীয় দলের খেলোয়াড় কি কোটার মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়? হয় না। এখানে মেধা বা পারফর্মেন্সই বিচার করা হয়। তাই তো? ওখানে দক্ষ খেলোয়াড়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এজন্যই তো একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সৃষ্টি হইছে। একজন মাশরাফি, একজন তামিম, একজন মুশফিক, একজন মুস্তাফিজ এর সৃষ্টি হইছে। তাহলে বাকিসব জায়গায় কোটা কেন?
ব্যাপারটা একই রকমই তো, তাই না?
নাকি এক না?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন