কিছু লোকের অন্য কোন দিবস নিয়ে এলার্জি নাই। শুধু মা দিবস নিয়েই যত এলার্জি। এরা এটা বলে যে, প্রতিদিনই মা দিবস। মায়ের জন্য আলাদা দিবস থাকার কী দরকার। এসব কর্পোরেট বিষয় আশয়।
আমি মানছি যে আপনি প্রতি মূহুর্তে মাকে ভালবাসেন, মায়ের যত্ন নেন। এসব কর্পোরেট বেনিয়া বিষয়ের বিরোধী আপনি।
খুব ভাল কথা।
তবুও আপনি জন্মদিনের বিরোধী নন। আপনি নারী দিবসের বিরোধী নন। আপনি অন্য যে কোন দিবসে ম্যাচিং করা পোষাক পরে দলবেঁধে ঘুরতে বের হন, খেতে বের হন। এসব আপনার ভালই লাগে। আপনার স্ত্রী কিংবা স্বামীকে এই দিনে তাঁর মায়ের প্রতি ভালবাসায় গদগদ হতে দেখে কিংবা স্মৃতিকাতর হতে দেখে আপনার গা রি রি করে ওঠে। আপনার মনে হয় এটা মা দিবস না ছাই! শ্বাশুড়ি দিবস ছাড়া আর কি!
আমি মানছি যে আপনি প্রতি মূহুর্তে মাকে ভালবাসেন, মায়ের যত্ন নেন। এসব কর্পোরেট বেনিয়া বিষয়ের বিরোধী আপনি।
খুব ভাল কথা।
তবুও আপনি জন্মদিনের বিরোধী নন। আপনি নারী দিবসের বিরোধী নন। আপনি অন্য যে কোন দিবসে ম্যাচিং করা পোষাক পরে দলবেঁধে ঘুরতে বের হন, খেতে বের হন। এসব আপনার ভালই লাগে। আপনার স্ত্রী কিংবা স্বামীকে এই দিনে তাঁর মায়ের প্রতি ভালবাসায় গদগদ হতে দেখে কিংবা স্মৃতিকাতর হতে দেখে আপনার গা রি রি করে ওঠে। আপনার মনে হয় এটা মা দিবস না ছাই! শ্বাশুড়ি দিবস ছাড়া আর কি!
শুনুন, মা দিবস যেভাবেই হোক, যে কারণেই হোক, এটা আসলে অন্য সব দিবস থেকে শ্রেষ্ঠ। এ দিবসে যখন সব মানুষ মাকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হয় তখন সারা পৃথিবী কেমন মমতার আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে। মাকে ভুলে যাওয়া মানুষেরাও মায়ের জন্যে কেমন কেমন করে ওঠে! তখন সবার মায়ের কথা খুব বেশি করে মনে হয়। মায়ের আদর, স্নেহ, ভালবাসার কথা মনে হয়। মায়ের আদর পেতে ইচ্ছা হয়। মায়ের প্রতি আমাদের অবজ্ঞা, অবহেলা, অবিচারের কথা মনে হয়ে মনটা কেমন অপরাধবোধে গ্রাস হয়। আমরা মাকে মনে করি এবং আমাদের সন্তানেরাও মনে করে তাদের মায়েদের কথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন