সূচীপত্র

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯

পেরেশানির পৃথিবীতে আনন্দ দিতে পারা বিরাট যোগ্যতা

বিটিভি'র যুগের দর্শকেরা সপ্তাহে একটা কি দুইটা নাটক দেখতে পাইতো। সেই দুর্দিনের বাজারে যা দেখানো হইতো তা-ই ভাল লাগত।
তার মানে এখন যে ভাল নাটক হইতেছে না, তা কিন্তু নয়। এখনই বরং বাংলা নাটকের স্বর্ণযুগ চলতেছে।
এখন তো নাটক সহজলভ্য হইছে। আমদানী বেশি। আমদানী বেশি মানে বাজারে প্রতিযোগিতার সিচোয়েশন সৃষ্টি হইছে। দর্শকদের (ভোক্তাদের) নানান অপশন তৈরি হওয়াতে তাদের নানান শ্রেণী তৈয়ার হইছে।
সবচেয়ে বড় যে ভোক্তা শ্রেণী তারা বিভিন্ন কারণে হাস্যরসাত্মক ধরণের নাটক গ্রহণ করতেছে। তাদের এই গ্রহণে হাস্যরসাত্মক টাইপের নাটকের উৎপাদন বাড়তেছে। প্রমিত ভাষা, সিরিয়াস টাইপ, গুরুগম্ভীর টাইপের নাটক মাইর খাইতেছে। এই ধরণের দর্শক শ্রেণী সংখ্যায় নগন্য। তারা কেউ কেউ হা হুতাশ করতেছে। তাদের এই নাকি কান্না বড়ই বিরক্তিকর এইজন্য যে তারা তো উচ্চমার্গীয় বিদেশী নাটক, চলচ্চিত্র নিয়া থাকে। তারা কয়টা বাংলা নাটক দেখে? আদৌ কি দেখে? তাদের মতো দুই চাইরজন লোকের জন্য লোকেরা বিনিয়োগ করে চালান কেন হারাবে?
যাই হোক, নাটকের মাধ্যমে মাস্টারি করা যায়, স্রেফ আনন্দও দেওয়া যায়, আবার একই সাথে দুইটাই করা যায়। যে যেইটা পারে করুক।
তবে প্রধান কথা হইল, দর্শক আগে আনন্দ চায়। অন্য কিছু হইলে হইল, নইলে নাই। পেরেশানির পৃথিবীতে আনন্দ দিতে পারা বিরাট যোগ্যতা। এই যোগ্যতা যাদের আছে, তাদের আর কী দরকার? চালিয়ে যান হে যোগ্যতর ভাইয়েরা। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, অন্তরে আনন্দ দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন