সূচীপত্র

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২০

একুশে ফেব্রুয়ারি ও ধানমন্ডি লেক

দুপুরে ঘুমাইছি অনেক। বিকালে উঠছি। দুপুরে অনেকগুলা ভাত খাইছি। মুরগীর তরকারিডা স্বাদ হইছিল। কয়েকদিন আগে খালা শ্বাশুড়ীর বাড়ি থেকে ক্যাপসিকাম পাঠাইছিল। ব্রকলিও। এখন মানুষ শখ কইরা বিদেশী সবজিও চাষ করে। ফলনও ভাল হয়। যাই করুক, ফলন বেটার হইলেই ভাল। সবজির কোন অপরাধ নাই। দেশী কিংবা বিদেশী যা-ই হোক।
ইউটিউব থেকে রেসিপি নিয়া বাসায় ক্যাপসিকাম দিয়া মুরগীর মাংস রানছে। গরম গরম খাইতে ভাল লাগছে।
বাজার আনতে যাওয়ার ছিল। বাসা থেকে পাঁচটার দিকে নামছি। ডাক্তারখানায় গিয়া মা'র জন্য ডাক্তারের সিরিয়াল দিছি আগে। বাজারে ঢোকার আগে একটু রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকছি। ওইখানে ভাষার গান হইতেছে দেখলাম। খানিক দাঁড়ানোর পর ফাপর লাগতেছিল। হায় রে মানুষ! মানুষ আর মানুষ! লোকেরা খাইতেছে। কোন টেবিল খালি নাই। লুচি, চাপ, চা, কফি আরো কত কী! ছেলেরা কালো পাঞ্জাবি পরছে। সুন্দর সুন্দর ফর্সা রমণীরা সাদা-কালো শাড়ী পরছে। খোপায় সাদা রঙের ফুল। কী সুন্দর লাগতেছে। ঘুরতেছে ওরা, হাসতেছে। কী ফূর্তি!
ফতুয়া-প্যান্ট পরা, প্রতিবাদী, বিপ্লবী টাইপ মেয়েরাও আছে কিছু। বিপ্লবী টাইপের মেয়েগুলি দেখতে সুন্দর না। অযত্ন, অবহেলায় সুন্দর মুখশ্রীটারে পুড়ায়ে ফেলছে ওরা।
যাই হোক, হাঁটতে হাঁটতে ব্যাচেলর পয়েন্টের দিক দিয়া বাইর হইছি। আসার সময় এক হিজড়া পথ আটকাইছিলো। ওঁরে ১০ টাকা দিয়া ছাড়া পাইছি। Anam Rangs-এ গিয়া বউয়ের জন্য একটা কালা রঙের ড্রেস কিনছি। অফিসে যাওয়ার জন্য। ভাষা দিবসের ড্রেস।
ক্ষিদা লাগছিল। ভাবছিলাম রবীন্দ্র সরোবরে গিয়া লুচি আর মুরগী ভাজা খাবো। চান্স পাই নাই। ভিড়। Boomers-এ ঢুইকা দুইজনে দুইটা সেট মেন্যু খাইছি। দাম বেশি না।
ওখান থেকে আইসা বাজারে ঢুকছি। বাজারেও ভিড় রে ভাই! চাইল, ডাইল, ত্যাল, আলু, পিঁয়াজ,শাক-সবজি, মাছ-মাংস কিনছি। গরুর মাংসের দাম একটু কমছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন