মিন্টু শাহজাদা
আজকের নরম শরীরে যেন চারা
গজায়ে উঠিতেছে
সেও ভাল! যদি মাঠে মাঠে মায়া
মমতাহীন খরা,
চৈত্র মাসের তাপে ঢেউয়ের
মতোন ফেটে ফেটে যায়!
সবজি ক্ষেত, সবুজ ধানের তলা
সূর্য়ের প্রতারণায়
সৃজনের কথা ভুলে ভুলে যায়।হায়!
সমস্ত পৃথিবীর
আবাদ মৃতবৎ হলে পরে, হাভাতে
মানুষের নরম শরীরে
চারা গজাবে! না খেতে পেরে,
বড় বড় চোখ আর
জীর্ণ পেট, হাতে, মুখে, গতরে
ক্ষত; কর্কটের চারা!
অসহায় পৃথিবীর কী সাধ? কালো
ধোঁয়ার কুন্ডলী
পাকাতেছে মানুষেরা; যন্ত্র
আর প্রযুক্তির সংকল্পে
ভেসে ভেসে আসিতেছে ঝড়ের চিৎকার!
ভুমিকম্প
আসিবে বলে রাস্তার কুকুরেরা
কাঁপিতেছে নীরবে।
নরম চুলের শিশুগুলো খেলাবে
না বলে, মাঠে ঘাটে
কংক্রিটের তীক্ষ্ণ আওয়াজ;
শিশির পড়িবার ঘাসগুলি কই?
ঘাসেদের প্রয়াণ হলে পরে,
বয়সীরা হাঁটিতেছে ইটের ওপর,
নরম শরীরে মমতাহীন কর্কটের
চারা গজাতেছে বলে!
প্লাস্টিকের কঙ্কালেরা পঁচিবেনা
আর! রাজ রাজরাদের
পঁচন হবে বলে, মানুষেরাও
পঁচিবে বিনা অভিশাপে!
সন্তান জন্মাবার আগে, জননীরাও
পঁচে যাবে অকস্মাৎ
পৃথিবীর বুকে আলো আসিবে না
বলে; সূর্যের অভিশাপে
ক্লান্ত বৃক্ষগুলি বাড়িবে
না আর! চিতা জ্বলিবে কিসে?
কংক্রিটের তীক্ষ্ণ আওয়াজ;
ঘাসেদের প্রয়াণ হলে পরে,
মানুষেরাও ফেটে ফেটে যায়
ক্লান্তি আর জ্বরের উত্তাপে।
নরম শরীরে অনবরত কর্কটের
চারা গজাবে বলে
অগণন লোক মরে মরে যাবে ঘুমাতে
যাবার আগে।
১৯/০৯/২০১৬
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন