মিন্টু শাহজাদা
জীবনের মানে বুঝিবার আগে
প্রয়াণ হতেছে সবার।
ধান ক্ষেতের আলে বসে অশীতিপর
বৃদ্ধ ভাবে,
পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কী লাভ?
বিবর্ণ হয়ে আসা চোখে,
ক্রমে ক্রমে শীত আসিবে শরীরে,
হাতে, পায়ে;
আশ্চর্য মোমের মতোন নিভু
নিভু হতে হতে
নিভে যাবে প্রাণ, তেতুল গাছের
নিচে, হুশ হবেনাকো কোনদিন!
যে মানুষেরা আসিয়াছে পৃথিবীতে,
পৃথিবীর প্রান্তরে হাঁটিতে হাঁটিতে
ক্লান্ত হতেছে সব।কলমি শাকের
নরম পাতায় জমে যাওয়া শিশিরের মতোন,
চোখের কোণায় বিন্দু বিন্দু
জল জমিতেছে গোপনে; বিবাহিত আত্মজার
চোখের কোনায় জল কই? তাহাদেরও
চোখে জল আসিবে ফের,
জগতের নীলাভ সন্ধ্যায় ক্লান্ত
হইবার পর; জীবনের মানে বুঝিবে না কোনদিন।
ঘন কুয়াশায় পটল গাছে আবারো
ফুল ফুটিতেছে চাষাদের ক্ষেতে,
তবুও রোগা হযে যাওয়া হালের
বলদের কদর নেই আর!
যন্ত্রের লাঙল আসিবার পর
মানুষেরাও যান্ত্রিক হতেছে সব,
হাসি, ব্যথা কিংবা কান্না
টের পাইবার ফুরসৎ হবেনা কোনদিন!
চঞ্চল অতীতের স্মৃতিগুলো
চাপা পড়িতেছে। বয়সের ভারে,
উজ্বল জোনাকির মতো জ্বলন্ত
নক্ষত্রেরাও চাপা পড়িবে মূঢ় নি:শব্দে,
শেষ বিকেলের পর, আকাশে আর
জ্বলিবেনা কোনদিন।
বহু পথ হেঁটে আসিবার পর, অন্ধকার ঘরের ভিতরে,
লাঙলের গরুর মতোন ক্লান্ত, অশীতিপর বৃদ্ধ ভাবে,
পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কী লাভ? জীবনের মানে বুঝিবার আগে,
নিভু নিভু হতে হতে নিভে যাবে প্রান, হুশ হবেনাকো কোনদিন!
১৯/১০/২০১৬, ঢাকা।
১৯/১০/২০১৬, ঢাকা।
কবিতা পড়ে নিজেকে অশীতিপর বৃদ্ধ বৃদ্ধ লাগসে। তাইলে কি মরার টাইম চলে এসেছে!!
উত্তরমুছুননা ভাই, বেঁচে থাকবেন বহুকাল। শান্তিতে।
মুছুন