সূচীপত্র

শুক্রবার, মে ১৮, ২০১৮

টক শো

টেলিভিশনে টক শো দেখার সময়, ধৈর্য কোনটাই থাকে না। যদি এসব দেখি হঠাৎ হঠাৎ তা ইউটিউবেই। ব্যাকডেটেডগুলাই দেখি।
রাতে কিছু কাজ করলাম। কাজ শেষ হতে হতে রাত প্রায় দুইটা বেজে গেল। কাল-পরশু তো ছুটি। দিনে বরং একটু বেশি ঘুমিয়ে নেব এই ভেবে রাত জাগা। ভাবলাম এক ঘন্টার জন্য আর কী শু’বো। একবারে সেহরী খেয়ে শুই। এই সময়ে বরং কিছু কৌতুক এবং টকশো দেখি। ইউটিউবে বিভিন্ন ইস্যুতে কিছু কিছু কৌতুক এবং টকশো দেখলাম। টকশো-তে লোকেরা দেখি একে অপরকে ধমকায়। এমনকি সঞ্চালকও দেখি সম্মানিত অতিথিদের সাথে বেশ ধমকের সুরে কথা কয়।
একটি শো-তে আমাদের পরিচিত এক বড় আপা একটা বিশেষ ইস্যু নিয়ে কথা বলছিলেন দেখলাম। এটা এপ্রিলের মাঝামাঝির দিকের প্রোগ্রাম। রাজনৈতিক নয়। তিনি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গ্রাউন্ডে কথা বলছিলেন। দুঃখজনকভাবে তাঁর কথার আল ধরতে পারেন নাই অন্যেরা। তাঁর কথা বোঝার মতো প্রজ্ঞা বাকিদের ছিল না মনে হচ্ছিল অথবা বুঝতে পারলেও আটকে যাবেন- এই ভয়ে গায়ের জোরে ঠেলে ঠেলে অন্যদিকে নিচ্ছিলেন তাঁর কথাগুলিকে। দেখেন দেখি- কী অস্বস্তিকর!
আরেকটা বড়ভাই ছিলেন ওই টক শো-তে। তিনিও অনেক জানাশোনা লোক। ইচ্ছা করলে তিনি আপাকে সমর্থন দিতে পারতেন, তাতে অন্যেরা গোয়ার্তুমি করে জুত পাইতো না। কৌশলগত কারণে তিনিও চুপ ছিলেন দেখলাম।
অনেকগুলি কমজানা লোকের মধ্যে এক দুইজন প্রাজ্ঞ লোক থাকলে যে কোন সভা কেমন অস্বস্তিকর আর বিরক্তিকর লাগে। সেজন্য টকশোতে যাওয়ার আগে জেনে নেয়া ভাল যে সেখানে মাথামোটা গোঁয়ার লোকের সংখ্যা বেশি কি না। থাকলে না যাওয়াই ভাল। খামাখা অস্বস্তিতে পড়ার কী দরকার?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন