সূচীপত্র

শনিবার, মে ১৯, ২০১৮

রোজার ভিতরে কোন একদিন যেন আমি জাহাঙ্গীরনগরে গেছি

চোখ বন্ধ করে ভাবতেছি এবারে রোজার ভিতরে কোন একদিন যেন আমি জাহাঙ্গীরনগরে গেছি। ইফতার টাইমে সেন্ট্রাল মাঠে নিউজপেপার বিছায়ে এক বস্তা মুড়ি ঢালতেছি। সাথে পাঁচ কেজি ছোলা, তিনকেজি পিঁয়াজো, তিন কেজি চপ, তিন কেজি বেগুনি, এক পোয়া সরিষার তেল, বিশটা বড় লেবুর রস, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি কাঁচা মরিচ, দুই কেজি জিলাপি, এক কেজি বুন্দিয়া দিয়ে মুড়িরে খুব সুন্দর কইরা মাখাইতেছি।
খাঁটি আখের গুড় আর লেবু দিয়া এক ড্রাম শরবত বানাইতেছি।
তারপর, ইফতার টাইমে যে সব বাচ্চারা পলিথিন হাতে ঘুরে ঘুরে ইফতারের খাবার সংগ্রহ করে ওদেরকে ডাকতেছি। বলতেছি- আয় তোরা আয়। ইফতার খেয়ে নে।
ওরা যেন আসতেছে ছুটে দলবেঁধে। দৌড়ায়ে গিয়ে ইফতারের ঢিবির উপরে আছড়ায়া পড়তেছে, গড়াগড়ি খাইতেছে মাখানো মুড়ির ভিতর কিংবা ডুব দিয়ে রইছে লেবু-গুড়ের শরবতের ভিতর। ডুব দিয়ে ভুড়ভুড়ি ছাড়তেছে।
ওদের আজ আনন্দ, আমারও।
আমি কত কী ভাবি!
ভাবলামই যখন, তখন ইফতারের পরিমাণ এত কম ভাবলাম কেন?
এক ট্রাক, দশ ট্রাক কিংবা বিশ ট্রাক ভাবতে পারতাম কিংবা আরো?
আসলে আমি যখন ওখানে পড়তাম তখন বাচ্চাদের পরিমাণ যা ছিল তাতে এক বস্তায়ই হয়ে যাওয়ার কথা। এত ভাবতে যাব কেন? অপচয় ঠিক নয়।
অপচয়কারী শয়তানের ভাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন