সূচীপত্র

বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৯

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই কিছু মানুষ খুনি, হিংস্র!

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই কিছু মানুষ খুনি, হিংস্র!
এই খুনের কারণ বহুবিধ। একটা হলো নিজেকে/ নিজেদেরকে রক্ষা করতে খুন, আরেকটা হলো স্বার্থের জন্য খুন। প্রথম পদের লোকেদেরকে আমরা বলি যোদ্ধা আর দ্বিতীয় পদকে বলি খুনি।
এই খুনাখুনি প্রাচীন বিষয় আশয়। তবুও আমরা খেদোক্তি করি- 'মানুষ মানুষের প্রাণ নেয় কী করে? এরা কি মানুষ? নাকি জানোয়ার! ছি!'
যুদ্ধক্ষেত্রেও কিছু নীতি, নৈতিকতার ব্যাপার আছে অর্থাৎ মানুষ মারার ক্ষেত্রেও 'নৈতিকতা' বলে একটা বিষয় আছে! এমনকি 'মানবতা'রও প্রসঙ্গ আছে! হাহা! এখানে মানুষ মারার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেই সেটাকে আমরা বলি- কী অমানবিক রে, বাবা! হাহাহাহা
এই মানুষ মারনেওয়ালাগণ দুনিয়াতে খুব কম। পৃথিবীর বিলয়ন বিলিয়ন কিংবা অগণন মানুষের মধ্যে এইসব খুনিদের সংখ্যা খুবই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এবং গণনাযোগ্য। এই দুই চারজন করে খুনি, অসভ্য লোক তো সবসময়ই ছিল, আছে, থাকবেও।
কোথাও একটা খুনাখুনি হলেই আমরা নানারকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি, ক্ষোভ প্রকাশ করি, কষ্ট পাই, ব্যথিত হই।
কখনও কখনও কেউ কেউ তো ক্ষোভের চোটে হিতাহিত জ্ঞানই হারিয়ে ফেলে। এরা মানুষকে পশুর চাইতে খারাপ বলে গালি দিতে থাকে। এই দুনিয়ার দুই চারজন অসভ্য, খুনির জন্য গোটা মানবজাতিকে গালাগাল দিয়ে বসে। 'কী কী কারণে মানবজাতি কুকুর বিড়াল হইতে অধম' এতদ্বিষয়ক গবেষণার খাতা খুলে বসে!
এইগুলি এক একটা ভোম্বল, আবাল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন