ট্রয় আর স্পার্টার মধ্যে হোমার যে যুদ্ধ দেখিয়েছিলেন তা ছিল মূলত সম্মানের লড়াই। পরাক্রমশালী, একিলিসসমৃদ্ধ স্পার্টার ঘরের বউ ছিঁচকে ট্রয় যখন ভাগিয়ে নিয়ে গেল তখন স্পার্টার ক্রোধ তো প্রেমঘটিত ছিল না, ছিল মর্যাদাঘটিত।
এই সকল প্রেমঘটিত কোপাকুপি প্রাগৈতিহাসিক। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈষম্য কমিয়ে এনে এইসব কোপাকুপি কমিয়ে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করার কোন উপায় আছে কিনা কে জানে? প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে অদ্যাবধি প্রেমঘটিত এইসব সহিংসতা কেউ বন্ধ করতে পারে নাই। দূর্বল কেউ সবলের পছন্দে হাত দিল তো ঘটে গেল ঘটনা, রক্তপাত। আর এইসব মজনু, পাগল প্রেমিকগুলা তো অপরিনামদর্শী। ঘটনা ঘটানোর পর কী হতে পারে মাথায় কাজ করে না। ক্রোধে, হিংস্রতায়, বর্বরতার গ্রাসে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ধ্বংসের খেলায় মেতে ওঠে। সামনে যে শক্তিই পায় বিনাচিন্তায় ব্যবহার করে, এমনকি কলে, কৌশলে রাজনৈতিক শক্তিও। কোন রাজনৈতিক দলই বলে না, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অমুককে কোপাও। তবুও আমরা রাজনৈতিক রঙ মাখাই, সান্ত্বনা নেই।
কোন সহিংসতাই কাম্য নয়। খুনি যে সে খুনিই। তা সে যে কারনেই হোক। বিচার তো আবশ্যিকভাবে হতেই হবে। বিচার না হলে এই সহিংসতার লাগাম ধরে রাখা কষ্টকর হবে। বিচার মানে দ্রুত বিচার। দেরি করার কোন সুযোগ নেই।
"Justice delayed is justice denied."
কোন সহিংসতাই কাম্য নয়। খুনি যে সে খুনিই। তা সে যে কারনেই হোক। বিচার তো আবশ্যিকভাবে হতেই হবে। বিচার না হলে এই সহিংসতার লাগাম ধরে রাখা কষ্টকর হবে। বিচার মানে দ্রুত বিচার। দেরি করার কোন সুযোগ নেই।
"Justice delayed is justice denied."
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন