মিন্টু শাহজাদা
মানুষেরা সব আসিতেছে দলে
দলে
জীবনে বড় বড় অঘটন ঘটিবার
পর
মহাগোধূলি বেলায় আসিতেছে
অজস্র গলির পথ বেয়ে
ভূখা, নাঙ্গা, ভিখিরীর দেশে।
বাতাসে আগুন, মাটিতে রক্ত
গড়াইলো তো অনেক!
যতদিন বেঁচে আছি, দেখিতেছি
তাহাদের সংগ্রামী প্রেম,
বেঁচে থাকিবার এক আধটু ইচ্ছা।
শতাব্দীর কাছে ক্ষোভ।
তবুও এক টুকরো মাটি যদি পাওয়া
যেত নিজের!
মৃতদের উপেক্ষা করে চলে যেত
সব, বাঁচিতে।
বাঁচিবার সাধ হইতেছে সবের,
মানুষের মতোন!
তবুও অধিকার নাই বলে বাঁচিবেনা
কেউ।
এইসব মানুষেরা বাঁচিবেনা
বলে, নদীর ভেতরে
পঁচে যাওয়া প্রেম, ফুলে ওঠা
আধাপচা লাশ
ভাসিয়া আসিতেছে নিরব মানুষের
আধাপচা দেশে।
এ কেমন জনম? জন্ম হইবার পর
কোন সে দোষ?
কোন অপরাধে অন্ধকারে পারা
দিয়ে ধরে অজস্র মৃত্যু?
কী অধিকারে পাজর ভেঙে রচনা
করিতে চায় মাটি, ঘাস, স্বদেশ?
এই পৃথিবীতে ক্লেশ আছে, ব্যথা
আছে হৃদয়ের ভেতর!
তবু, নিস্তব্ধ মাটি আর ঘাসেদের
কোন অভিশাপ নেই!
শুধু অভিশাপ দিয়ে যাবে অজস্র
রক্ত, ভাঙা পাজর,
গলাকাটা লাশ; আগুন ভরা বাতাসের
ভেতরে।
২৭/১১/২০১৬
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন